ড. নীলিমা ইব্রাহীম।
বিমম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি এমন একজন মহীয়সীকে,যিনি কিনা কিংবদন্তি তূল্য।একাধারে তিনি একজন নিষ্ঠাবান শিক্ষাবিদ, সাহিত্যিক এবং অক্লান্ত সমাজসেবী।শিক্ষা, সংস্কৃতি,রাজনীতি সর্বক্ষেত্রে তাঁর বিশেষ অবদান উল্লেখযোগ্য। পিছিয়ে পড়া নারীসমাজের অর্থনৈতিক মুক্তির পথ দেখিয়েছেন তিনি। আত্মশক্তিতে দীপ্যমান নারী ব্যক্তিত্বের উজ্জীবনে তিনি ছিলেন নিবেদিত।
‘আমি বীরাঙ্গনা বলছি’ গ্রন্থটি মুক্তিযুদ্ধে নির্যাতিত নারীদের এক রক্তাক্ত আখ্যান তিনি লিপিবদ্ধ করে
গেছেন। তাঁদের পুনর্বাসনের জন্যে সর্বাত্বক প্রচেষ্টা চালিয়ে গেছেন।আমার পরম সৌভাগ্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা সাহিত্যের ছাত্রী হিসেবে
তাঁর অমূল্য সান্নিধ্য পেয়েছি।যুগে যুগে একজন নীলিমা ইব্রাহীমের আবির্ভাব ঘটে না। তাঁর কর্মসাধনার একটি ক্ণাও এই স্বল্প পরিসরে ব্যক্ত
করা দুঃসাধ্য। তাঁর অবিচল কর্ম,আদর্শ আমাদের
চলার পথের পাথেয়।
দিলারা মেসবাহ
কথাশিল্পী।
সভাপতি, বাংলাদেশ লেখিকা সংঘ।