টাঙ্গাইল শাখা সমিতি:
১৯৫৩ সালে আপওয়ার পূর্ব পাকিস্তান শাখার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি টাঙ্গাইল শাখা সমিতি নামে নিবন্ধিত হয়। এই শাখার কার্যক্রম নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হচ্ছে। এই শাখা সমিতির উল্লেখযোগ্য কার্যক্রম হল দুস্থ নারীদের সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া, সেই সথে কিছু কিছু অর্ডার মাফিক কাজ করা। ২০০৪ সাল থেকে গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান করছে। এছাড়া সদস্যদের জন্য নানা ধরনের বিনোদন মূলক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
রংপুর গুপ্তপাড়া শাখা সমিতি :
১৯৫৪ সালে আপওয়ার পূর্ব পাকিস্তান শাখার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি রংপুর গুপ্তপাড়া শাখা সমিতি নামে নিবন্ধিত হয় । নিজস্ব ভবনে এই শাখার কার্যক্রম পরিচালিত হয়। এই শাখা সমিতি দুস্থ ও বেকার মহিলাদের সেলাই বিনামূল্যে ব্লক, বাটিক প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। সম্ভার নামে একটি তৈরি পোষাকের দোকান পরিচালনা করে থাকে। সমিতির কার্যালয়ে পরিত্যক্ত জায়গায় মিনি নার্সারীর মাধ্যমে পাতা বাহার, ফুলের গাছ, বিভিন্ন প্রকার ঔষধী গাছের চারা বিক্রয় করে। রংপুর কমিউনিটি মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল এর মাধ্যমে প্রয়োজনে ফ্রি রোগী দেখার ব্যবস্থা করা হয়ে থাকে।
পাবনা শাখা সমিতি:
১৯৫৪ সালে আপওয়ার পূর্ব পাকিস্তান শাখার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি পাবনা শাখা সমিতি নামে নিবন্ধিত হয় । এই শাখার কার্যক্রম নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হয়। এই শাখা সমিতি যৌতুক, বাল্য বিবাহ বন্ধসহ নারীর অগ্রযাত্রা ও ক্ষমতায়নের পক্ষে উঠান বৈঠক করে থাকে। সমাজের সুবিধা বঞ্চিত মহিলাদের খাদ্য প্রক্রিয়াজাতকরন, সেলাই, বিউটিফিকেশন, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়ে থাকে।
চট্টগ্রাম শাখা সমিতি:
১৯৫৫ সালে আপওয়ার পূর্ব পাকিস্তান শাখার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি চট্টগ্রাম শাখা নামে নিবন্ধিত হয় । এই শাখার কার্যক্রম নিজস্ব ভবনে পরিচালিত হয়। সমিতির বর্তমান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে আর্থিকভাবে অস্বচ্ছল পরিবারের মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, অনাথ শিশুদের কল্যাণের জন্য শিশুসদন পরিচালনা করা, দাতব্য চিকিৎসালয়, বিনামূল্যে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া, মহিলাদের মধ্যে জ্ঞানচর্চার সুযোগ প্রদানের জন্য “রোকেয়া ইউসুফ” স্মৃতি পাঠাগার পরিচালনা করা, গরীবদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ ইত্যাদি করে থাকে। দীর্ঘদিন ধরে এই শাখার “মহিলা সমিতি স্কুল ও কলেজ” স্বনাম ধন্য বিদ্যাপীঠটি চট্টগ্রামের সুধী সমাজে প্রশংসিত হয়ে আসছে।
ময়মনসিংহ শাখা সমিতি:
১৯৫৫ সালে আপওয়ার পূর্ব পাকিস্তান শাখার অধীনে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই সংগঠনটি পরবর্তীতে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি ময়মনসিংহ শাখা সমিতি নামে নিবন্ধিত হয় । এই শাখা সমিতির নিজস্ব ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করছে। সমিতির বর্তমান কার্র্যক্রমের মধ্যে রয়েছে গরীব ও মেধাবী ছাত্র/ছাত্রীদের শিক্ষায় সহযোগিতার জন্য অর্থ সাহায্য প্রদান করা, কাটিং ও সেলাই প্রশিক্ষণ, হাতের কাজ (কারচুপি, এপ্লিক, ব্যাগ তৈরী ইত্যাদি) শেখানো হয়। গরীব মহিলাদের স্বাস্থ্য সেবা ও আইনী সহায়তা প্রদান, বৃক্ষ রোপন কর্মসূচি, শীতবস্ত্র বিতরন করে থাকে। ময়মনসিংহে “বাংলাদেশ মহিলা সমিতি উচ্চ মাধ্যমিক” স্কুলটি দীর্ঘদিন ধরে সুষ্ঠুভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে।
নড়িয়া (শরীয়তপুর) শাখা সমিতি:
১৯৭৭ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি নড়িয়া (শরিয়তপুর) শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাখা সমিতির বর্তমান কার্যক্রমের মধ্যে রয়েছে বুটিক হাউজ পরিচালনা করা, কিশোরীদের সচেতনতার জন্য বাল্য বিবাহ, বয়ঃসন্ধিকালের বিভিন্ন দিক নিয়ে বিভিন্ন বিদ্যালয়ে আলোচনা সভা ইত্যাদি।
কুষ্টিয়া শাখা সমিতি:
১৯৯২ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি কুষ্টিয়া শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি কুষ্টিয়া শাখা সমিতি বিভিন্ন ধরনের হাতের কাজ ও সেলাই (শাড়ি, নকশী কাঁথা, থ্রি পিস, পাঞ্জাবী , ফতুয়া ইত্যাদি) অর্ডার মাফিক সরবরাহ করে থাকে। কন্যাদায়গ্রস্থ মাতা, অসুস্থ রোগীদের সাহায্যার্থে অর্থ সহায়তা প্রদান করে থাকে। শীতার্ত ব্যক্তি, কাজে অসমর্থ, প্রাকৃতিক দূর্যোগে ক্ষতিগ্রস্থ ও দুস্থদের মাঝে পুরাতন বস্ত্রের পাশাপাশি নতুন বস্ত্র বিতরন কওে থাকে। এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ইস্যু যথা- নারী নির্যাতন, ইভটিজিং, নারী ও শিশু পাচার, ব্রেষ্ট ক্যান্সার ইত্যাদি বিষয়ে নিয়োমিতভাবে মত বিনিময় সভার আয়োজন করা হয়।
রংপুর শাখা সমিতি (সদর):
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি রংপুর শাখা সমিতি (সদর) প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাখার নিজস্ব ভবনে সমিতির কার্যক্রম পরিচালিত হয়। দীর্ঘ দিন ধরে বিভিন্ন সমাজ সেবামূলক কার্যক্রমের অধীনে সেলাই প্রশিক্ষণ দেওয়া, ছোট ছোট বাচ্চাদের অক্ষর জ্ঞান দান ইত্যাদি পরিচালনা করে থাকে।
যশোর শাখা সমিতি:
১৯৯৮ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি যশোর শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এই শাখা সমিতিতে বৃক্ষ রোপন কর্মসূচী পালন করা, বাল্য বিবাহ ও যৌতুক প্রথার বিরুদ্ধে নিয়মিত বৈঠকের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়।
রাজশাহী শাখা সমিতি :
২০০১ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি রাজশাহী শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এই শাখা নারী ও শিশু অধিকার, বিশেষত নারী ও শিশু পাচার রোধে সক্রিয় ভূমিকা পালন করে আসছে। এছাড়া নারীকে কর্মক্ষম করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করে থাকে।
বরগুনা শাখা সমিতি :
২০০৩ সালে বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বরগুনা শাখা সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ মহিলা সমিতি বরগুনা শাখা সমিতি বাল্য বিবাহ, যৌতুক, ইভটিজিং ও পারিবারিক সহিংসতা বন্ধে সামাজিক আন্দোলন ও গণসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছে। অস্বচ্ছল নারীদের বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দিয়ে তাদেরকে স্বাবলম্বী করে তোলার চেষ্টা করছে। বিভিন্ন এনজিও এর সাথে বয়:সন্ধিকাল, কৈশোর ও প্রজনন স্বাস্থ্য, যৌন নিপীড়ন রোধ ও ক্ষতিগ্রস্থ নারীদের আইনি সহায়তা প্রদান বিষয়ে বরগুনা মহিলা সমিতি কাজ করে যাচ্ছে। এছাড়াও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বাল্য বিবাহ রোধ, যৌতুক নিরোধ, পারিবারিক সহিংসতা রোধ এর উপর এ্যাডভোকেসী করছে।