আলোকিত ব্যক্তিত্ব ড. নীলিমা ইব্রাহিম
ড. নীলিমা ইব্রাহিম দেশের একজন খ্যাতিমান শিক্ষাবিদ। এর পাশাপাশি তিনি একজন সফল নারী নেত্রীও বটে। তিনি বাংলাদেশ মহিলা সমিতির সাথে সংশ্লিষ্ট থাকার সুবাদে সংগঠনটির প্রতিনিধি হয়ে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে দীর্ঘ সময় কাউন্সিলর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি তাঁর প্রজ্ঞা ও ঐকান্তিকতা দিয়ে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে নানা কার্যক্রমে অবদান রেখেছেন। পরিষদের ১৯৭৬-১৯৭৭ কার্যবর্ষ এবং ১৯৭৭-১৯৭৮ কার্যবর্ষে কার্যনির্বাহী পরিষদের সহ-সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। তাঁর যোগ্যতা ও কর্মনিষ্ঠা বিবেচনায় ১৯৮৬-১৯৮৭ কার্যবর্ষে তাঁকে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত করা হয়। এ সময় তিনি একনিষ্ঠভাবে পরিষদের জন্য বিশেষ অবদান রাখায় সচেষ্ট ছিলেন। তাঁর একান্ত প্রচেষ্টায় পরিষদের কার্যক্রমগুলোকে আরো গতিশীল করা হয়। তাঁর সফল নেতৃত্বে পরিষদের কার্যক্রমগুলো চলমান রাখার জন্য আর্থিক সহায়তা বৃদ্ধিরও উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। তিনি প্রথম পরিষদের ছয়তলা ভবনের অব্যবহৃত স্থানসমূহ ব্যবহার উপযোগী করে প্রতিষ্ঠিত বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে ভাড়া প্রদানের মাধ্যমে পরিষদ তহবিলে আর্থিক সংস্থানের প্রচেষ্টা চালান। বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদের অন্যতম কর্মসূচী শামসুন্নাহার শিশু কলাভবনের কার্যক্রমকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইনস্টিটিউটে চলমান রাখার ব্যাপারেও তিনি বিশেষ উদ্যোগ গ্রহণ করেন।
ড. নীলিমা ইব্রাহিম একজন মিষ্টভাষী এবং স্বল্পভাষী ব্যক্তি হিসেবে সকলের কাছে অত্যন্ত সম্মানীয় ও গ্রহণযোগ্য ছিলেন। বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদে তাঁর সহকর্মী হিসেবে যারা কাজ করেছেন তাদের সকলকেই তিনি যথাযথ মূল্যায়ন দিয়েছেন। তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্বে সকলেই সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করে পরিষদের কার্যক্রমকে সফল করেছে।
শিশুদের ভালবাসা এবং তাদের নিয়ে ভালো কিছু করা শিশু কল্যাণ পরিষদে এটিই ছিল তার ব্রত। সকল বিষয়ে তিনি খুব পরিষ্কার চিন্তার অধিকারী ছিলেন। তিনিই বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদকে মুক্ত চিন্তা ও মুক্তমনে কাজ করতে শিখিয়েছিলেন। দীর্ঘ সময় তাঁর সাথে আমার কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছে। তারই প্রেরণা নিয়ে আমরা পরিষদকে নব উত্তোরণের দিকে নিয়ে যাওয়ায় সচেষ্ট ও সফল হয়েছি। তাঁর শিখনো পথ ধরে বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ আজও এগিয়ে যাচ্ছে ক্রমশঃ সাফল্যের দিকে।
নূরুল করিম চৌধুরী জিন্নাহ
সাবেক সাধারণ সম্পাদক
বাংলাদেশ শিশু কল্যাণ পরিষদ